কলকাতা: ২৯৪ আসনে (294 constituencies) সমীক্ষা করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম (BJP Central Team) এখন রাজ্যে (State)। বেসরকারি সংস্থা দিয়ে এই সমীক্ষা চলছে । এই দলে বিজেপির অন্য রাজ্যের কর্মীরাও আছেন। কোন বিধানসভা কি অবস্থা তা নিয়ে দিল্লিকে রিপোট দেবে এই দল। এই মাসের শেষে রিপোর্ট দেওয়ার কথা। মেটিয়ারুজে এই দল কাজ করতে গেলে পুলিশ আটকায়, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কে বিষয় টি জানানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য, পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। দিল্লিতে আপ সরকার হারিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এবার ২০২৬ সালের বাংলার নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায় সংগঠন কী মজবুত করেছে পেরেছে বিজেপি? পরিসংখ্য়ান বলছে – বাংলায় সদস্য় সংগ্রহের টার্গেটের অর্ধেক পার করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। ‘সক্রিয় সদস্য়’ সংগ্রহ অভিযানেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুশি নয়, বঙ্গ বিজেপির উপরে। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ভায়া পাকিস্তান তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে? মোতায়েন ভারত সীমানায়
তবে মান ধরে রাখেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দক্ষিণদিনাজপুর, নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ভালো ফল করেছে। জলপাইগুড়ি, তমলুকও থেকে পাস মার্ক এসেছে। তার মধ্যেই হিন্দুভাবাবেগকে উসকে দিতে রাজ্যে আসেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আগামী বিধানসভা ভোটে জয়ী হতে আরএসএসের সঙ্গ আরও নিবিড় ভাবে চাইছে বিজেপি।
তবে আরএসএস মনে করছে, ভোটে জেতার জন্য বিজেপির সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের মধ্যে মতাদর্শগত ভিত মজবুত করা সবার আগে প্রয়োজন। মোহন ভাগবতও ফেব্রুয়ারিতে এসে বলেছিলেন, ‘সংঘের কাজ একটাই, তা হল সমাজকে সংগঠিত করা এবং সংগঠিত রাখা। সংঘের মূল উদ্দেশ্য হল এমন মানুষের তৈরি করা যারা সমাজের জন্য কাজ করতে সক্ষম। প্রকান্তরে ভাগবত বিজেপির সকলস্তরের নেতাদের একত্রবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তা দেন।
দেখুন অন্য খবর: